Saturday, June 11, 2016

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু করণীয়

বৈশ্বিক উষ্ণতা বজ্রপাতের কম্পাঙ্ক লক্ষণযোগ্য হারে বৃদ্ধি করছে। আমাদের দেশেও এ মৌসুমে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিবছরই বজ্রপাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে করণীয় দিকগুলো আলোচনা করা হলো-
 
বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ
বজ্রপাত হওয়ার আগ মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে কোথায় তা পড়বে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে বজ্রপাত হবে এমন প্রস্তুতি নিন।
 
খোলা বা উঁচু স্থান থেকে দূরে থাকা
ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নেয়াই সুরক্ষার কাজ হবে।
 
উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকা
কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেয়া যাবে না। যেমন- খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদি।
 
জানালা থেকে দূরে থাকা
বজ্রপাতের সময় ঘরের জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতর থাকতে হবে।
 
ধাতব বস্তু স্পর্শ না করা
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করা যাবে না।
 
বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরা যাবে না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে প্লাগ খুলে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখতে হবে।
 
গাড়ির ভেতর থাকলে
বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া যে পারে। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
 
গগণচুম্বী স্থান থেকে নিজেকে সরাতে হবে
এমন কোনো স্থানে যাওয়া যাবে না। যে স্থানে নিজেই ভৌগলিক সীমার সবকিছুর উপরে। মানে আপনিই সবচেয়ে উঁচু।
এ সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যেতে হবে। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যেতে হবে।
 
পানি থেকে দূরে থাকা
বজ্রপাতের সময় নদী, জলাশয় বা জলাবদ্ধ স্থান থেকে সরে যেতে হবে। পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী তাই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
 
পরস্পর দূরে থাকতে হবে
বজ্রপাতে সময় কয়েকজন জড়ো হওয়া অবস্থায় থাকা যাবে না। ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যেতে হবে। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যাওয়া যেতে পারে।
 
নিচু হয়ে বসা
যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে চোখ বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু এ সময় মাটিয়ে শুয়ে পড়া যাবে না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
 
রবারের বুট পরিধান
বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।
 
বাড়ি সুরক্ষিত করতে হবে
বজ্রপাত থেকে বাড়িকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
 
বজ্রপাতে আহত হলে
বজ্রপাতে আহত কাউকে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতোই চিকিৎসা করতে হবে। দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে। হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ জরুরি। যা সহজেই জেনে নেয়া যেতে পারে ।
 
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
 

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে



https://secrethealthcarebd.blogspot.com/2016/06/blog-post_43.html
ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের যত্নও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে।
কিন্তু অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
১। লবঙ্গের তেল
লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ  করে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল
প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি
মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি
কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।




Friday, June 10, 2016

রোজায় মুখের দুর্গন্ধ কিভাবে দূর করবেন?



রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে আমাদের মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় এটি সবার জন্যই একটি বড় সমস্যা ভোররাতে দাঁত ব্রাশ করে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করেও মুখের গন্ধ দূর হয় না মুখে এমন দুর্গন্ধ নিয়ে সবার সঙ্গে মেশাটাও মুশকিল কী করবেন? জেনে নিন  মুখের দুর্গন্ধকে সুগন্ধে বদলে ফেলার কৌশল-
  • এলাচ
  • লবঙ্গ
  • দারুচিনি

এদের মধ্যে যেটি আপনার পছন্দ সেটি সেহরি খাওয়ার পরে মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চিবাতে থাকুনদেখবেন কিছুক্ষণ পর মুখের দুর্গন্ধ একেবারেই গায়েব হয়ে যাবেএই মসলাগুলোতে থাকে এসেনশিয়াল ওয়েল, যা প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার মুখে সুগন্ধের সৃষ্টি করে

এলাচি
লবঙ্গ
দারুচিনি


জামের স্বাস্থ্য উপকারিতা




http://secrethealthcarebd.blogspot.com/

জাম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম ফলের ইংরেজি নাম `ব্ল্যাকবেরি` এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `সি`, `` এবং `` ভিটামিন `সি` গরমে ঠান্ডা জনিত জ্বর, কাশি টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে দূর করে জ্বর জ্বর ভাব আর দাঁত, চুল ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম এছাড়াও জাম এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, চলুন জেনে নেই জামের স্বাস্থ উপকারিতা সমূহ:

মানসিকভাবে সতেজ রাখে:
জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে

ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করে:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জাম খাওয়ার ফলে . শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিক কমে গেছে এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম ডায়বেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে

ভিটামিন সি জনিত রোগ দূর করে:
জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যার জন্য এটা দেহে ভিটামিন সির ঘাটতি পূরণ করে এবং একই সঙ্গে ভিটামিন সির অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করে ছাড়া মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত, মাড়ি শক্ত এবং মাড়ির ক্ষয়রোধেও জুড়ি নেই জামের এতে বিদ্যমান পানি, লবণ পটাশিয়ামের মতো উপাদান গরমে শরীর ঠাণ্ডা এবং শারীরিক দুর্বলতাকে দূর করতে সক্ষম যারা অতিরিক্ত ঘামেন, তাদের জন্য তো কথাই নেই জামে দেখা মেলে বেশি পরিমাণের আয়রনেরও, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে

হার্ট ভালো রাখে:
জাম রক্তের কোলস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখে এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
জামে কম পরিমাণের ক্যালোরি থাকে, যা ক্ষতিকর তো নয়ই বরং স্বাস্থ্যসম্মত তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তাদের খাদ্য তালিকায় আসতে পারে জাম

উচ্চ রক্তচাপ:
ক্লিনিকাল ভাবে উচ্চ রক্তচাপ এর জন্য জামকে প্রেসক্রিপশনে প্রদান করা হয়েছে পুষ্টিবিদ এবং চিকিত্সকগণ তাজা ফল এবং সবজি খাওয়ার সুপারিশ করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামে সেই সকল উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে

ক্যান্সার এর সঙ্গে যুদ্ধ করে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ইলাজিক এসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এতে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি জাম লড়াই করে হূৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে

মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধ করে:
জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে
জামে ফাইটো কেমিক্যালস আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সঙ্গে মৌসুমি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় প্রতিরোধ করে ইনফেকশনের মতো সমস্যারও ভিটামিনসিঠাণ্ডা, কাশি টনসিল প্রতিরোধ করে জাম চুল পাকা বন্ধ করে এবং ত্বক দাঁত ভালো রাখে ভিটামিনচোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে তোলে
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা